| |
               

মূল পাতা জাতীয় বাংলাদেশকে কেনো চায় ব্রিকস?


বাংলাদেশকে কেনো চায় ব্রিকস?


রহমত নিউজ ডেস্ক     22 August, 2023     03:11 PM    


কৌশলগত অর্থনৈতিক জোট ব্রিকসে নতুন কোনো সদস্য অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে কিনা তা নিয়ে নানামুখী আলোচনার মধ্যেই জোহানেসবার্গে বসলো ১৫তম শীর্ষ সম্মেলন৷ পশ্চিমা বিশ্বের বিপরীতে ধীরে ধীরে শক্তিশালী হয়ে ওঠা এই জোটে সদস্য হবার জন্য বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেয়ার মধ্যেই বসলো এবারের সম্মেলন৷ যদিও এখনো এ বিষয়ে উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতির খবর নেই কোনো তরফে৷ বলা হচ্ছে, নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে ব্রিকস চাইছে নতুন করে আবারও পর্যালোচনা করতে৷ ২০০৯ সালে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত ও চীন মিলে গঠন করে ব্রিক জোট৷ পরবর্তীতে দক্ষিণ আফ্রিকার সংযোজনে কৌশলগত এ অর্থনৈতিক জোটটি ব্রিকস নামে যাত্রা শুরু করে৷ যার ১৫তম শীর্ষ সম্মেলন এবার হচ্ছে জোহানেসবার্গে৷ পৃথিবীর মোট জিডিপির ২৩ শতাংশ এবং বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৪২ শতাংশের অধিকারী এখন এ জোট৷ এছাড়া, বর্তমানে বিশ্ব বাণিজ্যের ১৬ শতাংশের বেশি প্রতিনিধিত্ব করছে ব্রিকস৷ তিন দিনের এ সম্মেলনে নতুন মুদ্রা প্রচলন এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডা নিয়ে আলোচনা হবে সদস্যদের মধ্যে। এর পাশাপাশি দক্ষিণ আফ্রিকায় বাণিজ্য বাড়ানোর সুযোগ ও সম্প্রসারণের আশা করছে বাংলাদেশ।

সদস্যপদ প্রাপ্তি বা অপ্রাপ্তির ইস্যু নিয়ে নানা আলোচনা চললেও ভিন্ন বাস্তবতায় বিষয়টিকে দেখছেন জানিয়ে কূটনৈতিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, গত একযুগে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাওয়া এবং ভূ-রাজনৈতিক ইস্যুতেই বাংলাদেশকে জোটে ভেড়াতে আগ্রহী হয়েছে ব্রিকস৷ ব্রিকসে যাওয়া যতটা বাংলাদেশের লাভ, ততটা তারাও আমাদেরকে চাইবে। এর একটা বড় কারণ হলো যে, বাংলাদেশ সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখার কারণে এটা সম্ভব হয়েছে। মানে একটা বিষয় বাংলাদেশ বোঝাতে সক্ষম হয়েছে যে, অর্থনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমরা সবার সঙ্গে আছি। কিন্তু সামরিক কাঠামোর মধ্যে আমরা নেই। আমরা জানি যে, ব্রিকস মূলত একটা অর্থনৈতিক কাঠামো, সেটা সামরিক জোট না। ভূ-রাজনৈতিক কারণেই বাংলাদেশকে সদস্যপদ দিতে আগ্রহী হয়েছে ব্রিকস। এবারের সম্মেলনে অংশগ্রহণের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একগুচ্ছ সাইড লাইন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবার কথা রয়েছে৷ যেগুলোর মাধ্যমে বাণিজ্যিক সুবিধা নেয়ার পাশাপাশি দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়নের সুযোগও কাজে লাগাতে পারবে।  যারা এ সামিটে আসছেন এবং যাদের সঙ্গে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর তারা পৃথিবী জুড়েই ব্যস্ততার মধ্যে থাকেন। সেখানে এই সুযোগটা তারা (বাংলাদেশ) স্বাভাবিকভাবেই নেবে। সাইড লাইন বৈঠক করে যে সহযোগিতাগুলো আছে সেগুলো কিভাবে বাড়ানো যায়, যদি সমস্যা থেকে থাকে সেগুলোর সমাধান করা যায় কিনা সেটা দেখে নেয়া এবং কাজ করা।